যারা ২য় মেধা তালিকায় সুযোগ পাননি তাদের জন্য রিলিজ স্লিপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য



আগেই বলেনি এখনো রিলিজ স্লিপের নোটিশ প্রকাশিত হয়নি, হওয়া মাত্রই আমাদের সাইটে প্রকাশ করা হবে।

রিলিজ স্লিপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
---------------------------------------------
------

আমাদের সকল পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন
National University | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
National University of bangladesh (session 2016-2017)


আমাদের পেজে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন,

১। যারা ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে
অনার্সে ভর্তির জন্য আবেদন
করেছিলেন কিন্তু চান্স পান নি মূলত
তাদের জন্যই রিলিজ স্লিপ।আবেদনকৃত
কলেজে পর্যাপ্ত আসন শেষ হওয়াতে
চান্স না পাওয়ায় জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য যে সকল
কলেজে আসন খালি থাকবে সেসকল
কলেজে আবেদন করার সুযোগ।
২। যারা ১ম ও ২য় মেধাতালিকায় চান্স/
সাবজেক্ট পেয়েও ভর্তি হন নি তারাও
রিলিজ স্লিপের জন্য আবেদন করতে
পারবেন।যারা ভর্তি হয়েছেন তারা
পারবেন না।
৩। রিলিজ স্লিপে আবেদন করা যাবে
সর্বোচ্চ ৫টি কলেজ।আপনি চাইলে ৩টি
বা ৪টি কলেজেও আবেদন করতে
পারবেন।যদি ৫টাতে করতে না চান
সেক্ষেত্রে।
★★ # রিলিজ_স্লিপে_আব
েদন_করার_নিয়মঃ
৪। প্রথমে আপনি যখন আবেদন করেছিলেন
তখন আপনার পছন্দ মত ১টা কলেজে আবেদন
করেছেন।এবং সাবজেক্টের একটা লিষ্ট
পেয়েছেন।সেখান থেকে পছন্দমত
সাবজেক্ট সিরিয়ালে
সাজিয়েছিলেন।
রিলিজ স্লিপে একই কাজ করবেন।নতুন
কিছু নয়।আগে করেছিলেন ১টা কলেজে।
এখন করবেন ৫টা কলেজে।পার্থক্য এতটুকুই।
প্রতিটা কলেজের জন্য আলাদা আলাদা
সাবজেক্ট লিষ্ট পাবেন।প্রতিটার জন্য
নিজের পছন্দ মত সাবজেক্ট সিরিয়াল
করতে হবে।
৫। আপনি চাইলে ৫টি কলেজ ৫টি
জেলাতেও চয়েস দিতে পারবেন।ধরুন
২টা দিলেন ঢাকা, ৩টা দিলেন
রাজশাহী।এরকমটাও সম্ভব যদি কেউ
দিতে চান।
৬। রিলিজ স্লিপ পূরনের সময় আপনি যে
জেলায় আবেদন করতে চান সে জালার
নাম,বিভাগের নাম পূরন করলে আপনার
ওই জেলায় কোন কোন কলেজে অনার্স
আছে সেটা দেখতে পারবেন।তারপর
নিজের পছন্দমত চয়েস করবেন কোনটাতে
আবেদন করবেন।
৭। রিলিজ স্লিপ পূরনের সময় যখন কলেজ
সিলেক্ট করবেন তখন প্রতিটা কলেজে
কোন কোন সাবজেক্ট আছে ও সেই
সাবজেক্টগুলোতে কতটি করে আসন
খালি আছে তা দেখতে পাবেন।
৮। প্রথমে যে কলেজে আবেদন
করেছিলেন সেখানে হয়তো ৮টা বা
১০টা সাবজেক্ট চয়েস করতে
পেরেছিলেন।কিন্তু রিলিজ স্লিপেও
সেম সাবজেক্টগুলোই আসবে এমনটা নয়।
প্রতিটা কলেজের উপর নির্ভর করবে
কোন কোন সাবজেক্ট আপনি চয়েস
দিতে পারবেন।সব কলেজে সবরকম
সাবজেক্ট থাকে না।যেমন ঢাকা
কলেজে ফিন্যান্স নেই।তাই অনলাইনে
যদি ঢাকা কলেজ সিলেক্ট করেন
সেখানে ফিন্যান্স 'শো' করবেনা।
আবার ধরুন আপনি প্রথমে ঢাকা কলেজে
আবেদন করেছিলেন তখন ফিন্যান্স
দিতে পারেন নি।এখন রিলিজস্লিপে
মিরপুর কলেজ চয়েস দিলেন সেখানে
ফিন্যান্স থাকায় অনলাইনে 'শো' করবে।
অর্থাৎ প্রতিটা কলেজের জন্য
অনলাইনে যে সাবজেক্টগুলো 'শো'
করবে শুধুমাত্র সেগুলোর ভেতর থেকে
পছন্দ অনুযায়ী সিলেক্ট করতে পারবেন।
৯। যে সকল কলেজে আসন বেশি খালি
থাকবে সেসকল কলেজ চয়েস দিবেন।
এতে সাবজেক্ট পাওয়ার আশা বেশি
থাকবে।এবং যে কলেজে আসন বেশি
খালি থাকবে সেগুলো সিরিয়ালে
উপরের দিকে দিবেন।সেটা কলেজের
বেলাতেই হোক কিংবা সাবজেক্টের
বেলায়।
১০। রিলিজ স্লিপ পূরনের সময় প্রতিটা
কলেজের জন্য সাবজেক্ট লিষ্ট থেকে
যখন নিজের পছন্দমত সাবজেক্ট সিরিয়াল
করে দিবেন তখন এমন কোন সাবজেক্ট
চয়েস দিবেন না যেটা পেলেও আপনি
পড়বেন না।এর পেছনে যুক্তি ২টাঃ
-------(ক) আপনি যে সাবজেক্ট টি
পেলেও পড়বেন না সেটা চয়েস
দিলেন।ধরে নিলাম সেটা
১০নাম্বারেই দিলেন।কিন্তু ওই
সাবজেক্টে আসন খালি থাকায় আপনার
যদি সেই সাবজেক্টটাই আসে তখন
সেটাই পেয়ে যাবেন।অন্য কলেজে আর
আপনার সিরিয়াল টানা হবে না।অথচ
সেটা যদি না দিতেন তাহলে অন্য
কলেজে ভালো একটি সাবজেক্ট
পেলেও পেতে পারতেন।আর রিলিজ
স্লিপে মাইগ্রেশনের কোন সুযোগ নেই।
তাই সাবজেক্ট পরিবর্তনের আশা করারও
সুযোগ নেই।
ধরুন- আপনি ৩টি কলেজ চয়েস দিলেন।
১। তেঁজগাও কলেজ।
সাবজেক্ট চয়েস দিলেন - (i)
হিসাববিজ্ঞান (ii) ম্যানেজমেন্ট (iii)
মার্কেটিং
২। শেখ বোরহানউদ্দীন কলেজ।
সাবজেক্ট চয়েস দিলেন- (i)
হিসাববিজ্ঞান (ii) ম্যানেজমেন্ট। (iii)
মার্কেটিং।
৩। ঢাকা কমার্স কলেজ। (i)
হিসাববিজ্ঞান (ii) ম্যানেজমেন্ট (iii)
মার্কেটিং।
ধরুন আপনি মার্কেটিং এ পড়তে চান
না।তবুও চয়েস দিছেন।সিরিয়াল সবসময় ১
থেকেই শুরু হয় এটা আমরা সবাই জানি।
যখন আপনার রেজাল্ট কাউন্ট করা হবে
তখন দেখুন কি হবেঃ
তেঁজগাও কলেজ দিয়ে শুরু হলো,আপনার
যা রেজাল্ট তাতে আপনি কোন
সাবজেক্টেই চান্স পেলেন না।আসন কম
থাকায়।যা আসন আছে তা তারাই
পেয়ে গেছে যাদের জিপিএ আপনার
থেকে বেশি।
এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আপনার
চয়েস করা ২য় কলেজ শেখ বোরহানউদ্দীন
কলেজে আপনার রেজাল্ট কাউন্ট শুরু
করলো।প্রথমে একাউন্টিং এ কাউন্ট
করলো,আপনার যা জিপিএ তা দিয়ে
আপনি সাবজেক্ট পেলেন না।তারপর
ম্যানেজমেন্টে কাউন্ট করলো,এখানেও
পেলেন না।কিন্তু মার্কেটিং এ সিট
থাকায় ও জিপিএ পর্যাপ্ত হওয়ায় আপনি
মার্কেটিং পেয়ে গেলেন।তাই আর ৩য়
কলেজ ঢাকা কমার্স কলেজ পর্যন্ত আর
তাদের যেতে হলো না।আপনার
রেজাল্ট আসবে বোরহানউদ্দীন কলেজে
মার্কেটিং পেয়েছেন।কিন্তু এখানে
আপনি যদি মার্কেটিং চয়েস না
দিতেন তাহলে তারা ৩য় কলেজে
কাউন্ট করতো।সেখানে আপনি
একাউন্টিং পেলেও পেতে পারতেন।
তাই যা করার ভেবে চিন্তে করবেন।
যেটাতে চান্স পেলেও ভর্তি হবেন না
বলে ঠিক করেছেন মন থেকে সেটাতে
চয়েস দিবেন না। ★★★তবে তখন এই
ধরণের বাছবিচার না করাই ভাল হবে।
সব বিষয়ই চয়েস করাটা ভাল হবে/
বুদ্ধিমানের কাজ হবে।★★★
-----(খ) আপনি যেটাতে চান্স পেয়েও
পড়বেন না সেটাতেও চয়েস দিলেন।
এবং কপালজোড়ে সেই সাবজেক্টেই
চান্স পেলেন।এবং ভর্তি হলেন না।
এখানে আপনার কোন লস নেই।কিন্তু
অন্যদিকে এমন অনেকেই আছেন, তার যে
কোন সাবজেক্ট দরকার।সাবজেক্ট কোন
ব্যাপার না তারকাছে।তার চাই যে
কোন একটা সাবজেক্ট অন্তত যাতে
অনার্স টা করতে পারেন।শুধুমাত্র
ফ্যামিলি কে সাপোর্ট করার জন্য।
চিন্তা করে দেখেন আপনি চান্স
পেয়েও ভর্তি হলেন না, কিন্তু অন্য একজন
এ সাবজেক্ট টা পেলে তার স্বপ্ন পূরন
হতো।তাই আবারো ভেবে দেখবেন
বিষয় টা।আমার টার্গেট ছিলো যা
পাবো তাই নিয়ে পড়ব। তবে ইংরেজি
টা আমার ১ম টার্গেট ছিল আর
একাউন্টিং টার্গেটে ছিল না তাই
ইংরেজি টা কে ১ম চয়েসে আর
একাউন্টিং টা কর লাস্ট চয়েসে রেখে
মাঝে আর যা যা সাব শো করেছিল
পছন্দ ম্মত সিরিয়াল করে সব গুলো
সিলেক্ট করে ২ টা সরকারি আর ৩ টা
বেসরকারি কলেজ সিলেক্ট করি।
আল্লাহর রহমতে ২য় চয়েসের কলেজে
নাম এসে পড়ে ২য় চয়েসের সাবজেক্টে
(যদিও ২য় কলেজ টা বেওসরকারি
ছিল,১ম টা ছিল সরকারি)
১১। রিলিজ স্লিপের সময় সরকারি
কলেজে আসন খুব একটা খালি থাকে
না।সরকারি কলেজে আসন না
থাকাতেই রিলিজ স্লিপ দেওয়া হয়।
তাই কেউ সরকারি কলেজে চয়েস
দিয়ে চয়েস নষ্ট করবেন না।চান্স
পাওয়ার আশা করলে ৫টাই অর্ধসরকারি
বা বেসরকারি কলেজে আবেদন করবেন।
যাদের স্কোর ভাল থাকবে তারা
বড়জোর ৩ টা সরকারি কলেজ লিস্ট এ
দিতে পারেন। যাদের স্কোর
মিডিয়াম বা খারাপ থাকবে তারা ২
বা ১ টা সরকারি অথবা সবগুলোই
বেসরকারি চয়েস করবেন।তারপরেও
রিলিজ স্লিপ পূরনের সময় নিজ চোখেই
দেখতে পারবেন।তখন যদি মনে হয়
মোটামুটি সিট খালি আছে ও আপনার
জিপিএ ভালো সেক্ষেত্রে ১টা বা
২টা সররকারি কলেজ চয়েস দিতে
পারেন।যদি দেন অবশ্যই প্রথমে দিবেন।
১২। রিলিজ স্লিপের সকল কার্যক্রম
অনলাইনে।পূরন করে ১টা কপি প্রিন্ট করে
নিজের কাছে রেখে দিবেন।কোন
কলেজে যেতে হবে না।এবং কোন
টাকা জমা দিতে হবে না। পরবর্তীতে
যে কলেজে চান্স পাবেন সেখানে
ভর্তির সময় উক্ত স্লিপ টি জমা দিবেন।।
১৩। রিলিজ স্লিপের ফলাফল প্রনয়ন করা
হবে জিপিএর মাধ্যমে।
১৪। ফলাফল প্রনয়ন বা সাবজেক্ট দেওয়ার
সিস্টেমঃ
ধরুন আপনি ঢাকা কমার্স কলেজ কে
১নাম্বারে চয়েস দিয়ে প্রথমে
ইংরেজি সাবজেক্ট চয়েস দিলেন।
তাদের ইংরেজিতে আসন ১০০টা
থাকলেও এখন খালি আছে ৫০টা।অর্থাৎ
১ম ও ২য় মেধাতালিকায় চান্স পেয়ে
বাকি ৫০জন ভর্তি হয়ে গেছে।রিলিজ
স্লিপে ৫০টা সিটের জন্য আবেদন করলো
১০০জন।এই ১০০জনের ভেতরে যাদের
জিপিএ বেশি ঐ ৫০জনই সাবজেক্ট টা
পাবে।এরকম হবে।
১৫। তাই কলেজ ও সাবজেক্ট চয়েসের
সময়কালে সতর্কতার সাথে এবং সময়
নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে কাজ
করবেন।এসব ভুলের কারনে অনেকে
ভালো জিপিএ থেকেও ভালো
সাবজেক্ট পাবেন না।আবার অনেকেই
কম জিপিএ নিয়ে সাবজেক্ট পেয়ে
যাবেন।যত চতুর হবেন ততই ভালো।
সাবধান !!
- সবার জন্য শুভকামনা।
এই ছিলো রিলিজ স্লিপের সবকিছু।
সবাই ভালোমত বুঝার ট্রাই করেন।কারো
আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা না।কেউ
পোষ্ট না পড়ে কমেন্ট করবেন না।এমন
কোন প্রশ্ন করবেন না যেটার উত্তর
পোষ্টেই দেওয়া আছে।এমনটা হলে উত্তর
দেওয়া হবে না।