অনুমোদন পেল ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, কার্যক্রম অস্থায়ী কার্যালয়ে


সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহের উপমা হচ্ছে শিক্ষা নগরী। এ অভিধা ময়মনসিংহকে বিশেষায়িত করেছে। সারাদেশে শিক্ষা বিকাশে এক অপার প্রেরণা এ নগরী।
অথচ এখানে নেই কোনো শিক্ষাবোর্ড। দিনের পর দিন এ দাবি উপেক্ষিত থেকেছে। 
কিন্তু ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নীত হবার পর এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভাগ্যে এবার শিকেয় ছিড়েছে। অবশেষে দেশের ১১তম শিক্ষা বোর্ড হিসেবে অনুমোদন মিলেছে ময়মনসিংহের। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বোর্ডের অনুমোদন দিয়েছেন।
মাস তিনেকের মধ্যে এর কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের জন্য কোনো ভবন না থাকায় আপাতত সরকারি কোনো স্থাপনায় কিংবা ভাড়া বাড়িতেই শুরু হবে এর অস্থায়ী কার্যালয়।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি. এম. সালেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত এখানে শিক্ষা বোর্ডের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। ময়মনসিংহ বিভাগের কার্যক্রম শুরুর পর শিক্ষা বোর্ডের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় কার্যত হতাশ ছিল এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন দেওয়ার পর এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের মাঝে আনন্দের ফল্গুধারা বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ খবরে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে চলতি বছর থেকেই শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দু’টি সভা করেছেন। সেসব সভায় শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) চৌধুরী মুফাত আহমেদকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন দেন।
নবম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের মধ্যে দিয়ে ওই সময় শুরু হবে বোর্ডের প্রাথমিক কাজ।
চারটি জেলা নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবারও সভা হবে জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা বোর্ডের জন্য জনবল নিয়োগ করতে হবে। আপাতত আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জনবল নিয়ে কাজ শুরু করবো। তারা এখানে ডেপুটেশনে আসবেন।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের জন্য আপাতত পুরাতন শহরে সরকারি কয়েকটি স্থাপনা ঠিক করে রেখেছি। সেখানে সম্ভব না হলে ভাড়া বাড়িতেই বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এর জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে।
বিভাগ সৃষ্টির এক বছরের মধ্যে বোর্ড অনুমোদন যুগান্তকারী উল্লেখ করে জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মূল ভবন হবে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে। সেখানে পাঁচ একর জায়গা নির্ধারণ করা আছে।